কমিউনিকেশন (Communication) আমরা প্রত্যেকদিন যখন যেই কাজটি করছি সবাই কিন্তু কমিউনিকেশন (Communication) এর মধ্যেই পড়ে। এখন যেহেতু আপনি আর্টিকেল পর্টিশন অবশ্যই আমরা যখন এটা লিখেছি তখন আমরা কমিউনিকেট করেছি, যখন দেয়া হয় তখন কমিউনিকেট করা হয়, মিটিং এর মধ্যে যখন আছো কমিউনিকেট করছো, ইমেইল পাঠাচ্ছো সেখানে কমিউনিকেশন চলছে, সামনাসামনি কথা বলছো সেখানেও কমিউনিকেশন হচ্ছে সারাক্ষণ আমরা যে জিনিসটা করতে থাকি সে জিনিসটার কিছু ইন্টারেস্টিং Hacks সবার মাঝে শেয়ার করতে চাই।
যে জিনিসগুলো আমি পেয়েছি আমার আশেপাশের অনেক মানুষজনদের থেকে অনেক বই থেকে এবং যে জিনিসগুলো আমার লাইফে কমিউনিকেশন বেটার করতে অনেক সহযোগিতা করেছে।
প্রথম স্টেপ – Call People By Their Name
তোমার সব থেকে প্রিয় শব্দ কোনটি? অবশ্যই তোমার সোনার মধ্যে সবথেকে প্রিয় নাম আমার নামটি। তোমার নামের মধ্যে একটা (Subconscious Awareness) থাকে। ধরো তোমার নাম ফাহিম, আশেপাশে কথাবার্তা হচ্ছে কিন্তু তুমি তোমার কাজ কান্ট্রিনিউ করে যাচ্ছ হঠাৎ করে তাদের কথাবার্তার মধ্যে ফাহিম নামে কিছু একটা উচ্চারণ করলো তখন তুমি হঠাৎ করে বলেছিল হ্যাঁ আমি আছি এরকম একটা বিহিত করে ফেলো।
তোমার নামের ব্যাপারে তোমার মাথার মধ্যে অন্যরকম একটা আইডিয়া থাকে অন্যরকম একটা চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে যেটা কেউ উচ্চারণ করা মাত্রই তোমার মাথার মধ্যে চলে আসে । তাই যখন কথা বলবে তখন চেষ্টা করো অন্য যে পারসন রয়েছে তার নাম ধরে কথা বলতে। ওয়েটার এসে খাবার দিয়ে যাওয়ার পরে যদি লক্ষ করো অনেক সময় তাঁর যে পোশাক রয়েছে তার মধ্যে নেই প্লেট থাকে তার নাম হলো রিয়াজ কিন্তু তাকে যদি রিয়াজ ভাইয়া বলে বলা হয় অনেক ধন্যবাদ তখন দেখবে সে যে কতটা হ্যাপি কতটা খুশি হয়েছে তুমি কল্পনাও করতে পারবে না। তাই নাম মনে রেখো এবং নেক্সট টাইম নাম ধরে কথা বলার চেষ্টা করুন।
এসএমএস যখন কাউকে পাঠাচ্ছে অর্থাৎ কাউকে যখন তুমি টেক্সট করতেছো তখন তুমি নাম ধরে তাকে এসএমএস পাঠাও। আমার কাছে প্রচুর এসএমএস আসে যেমন (আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া) এইটার থেকে যখন আসে (আসসালামু আলাইকুম আয়মান ভাইয়া) তখন আমার মনে হয় ও আচ্ছা আমাকে চিনে আমার নাম ধরে ডেকেছে তখন আমি আরেকটু বেশি অ্যাটেনশন নিয়ে দেখি।তাই এই জিনিসটাকে মানুষ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে বেশি অ্যাটেনশন দেয় তাই আরেকজনের সাথে যখন কতপতন চলছে তার নামটা উল্লেখ করে দাও এতে করে তার সাথে কথোপকথন খুব ভালো হবে এবং তোমার কত পতনের গুরুত্ব আরো বেড়ে যাবে।
দ্বিতীয় স্টেপ – Do Not Use Filler Words
আমরা কথার মাঝখানে অনেক ট্রেইলার ইউজ করি, Umm…, Aah….., Hmm…, Uhh….., Mhmm…, এত সংক্ষিপ্ত না করে এটা না বলে আরেকটা ছোট কাজ করতে পারো তুমি। তোমার কাজটি হচ্ছে (হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি – Yes, i get it, Hmm, i got it সো এই ধরনের ওহে হোম সংক্ষিপ্ত উত্তর না দিয়ে যখন তুমি বলবে (হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি) তখন অন্য ব্যক্তি তোমার সাথে কথা বলে ও আরেকটু স্মার্টলি কথা বাড়াইতে পারে সুতরাং সংক্ষিপ্ত কথাগুলো না বলে নেক্সট টাইম ব্যবহার করো হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি, হ্যাঁ ঠিক আছে এ ধরনের কথাগুলো। তখন তোমার এই ছোট ছোট কথাগুলো শুনে অন্য একজন অনেক বেশি ইমপ্রেস হবে।
তৃতীয় স্টেপ – Face The Other Person
যখনই কারো সাথে কমিউনিকেশন হচ্ছে সব সময় চেষ্টা করুন যেন সামনাসামনি কমিউনিকেশন হয়, কমিউনিকেশন করার সময় তুমি যদি সাইডে ঘরে থাকো আর একজন কথা বলছে তখন অন্যদিকে কথা না বলে অর্থাৎ অন্যদিকে ঘুরে না থেকে বডিটাকে ঘুরিয়ে তার সাথে কথা বল কেন না কথা শুরু হওয়ার পরে তুমি যদি অন্য দিকে তাকিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে তোমার অ্যাটেনশন থাকে মোট ৫০%, তুমি যখন ঘুরে তার সামনে দাঁড়াবে তখন তুমি তাকে পুরো ১০০% অ্যাটেনশন দিচ্ছ। এই জিনিসটা কিন্তু তুমি যার সাথে কথা বলছ উনিও অনুভব করে।
পরবর্তী সময় থেকে তুমি যখন কারো সাথে কথা বলবে তখন পুরো বডি ঘুরিয়ে তার সামনা সামনি হয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে তার সাথে কথা বলো এতে করে তোমার অ্যাটেনশন ১০০% বৃদ্ধি পাবে এবং তার কথাগুলোকে হজম করতে পারবে।
চতুর্থ স্টেপ – Maintain Posture & Gest
আমরা প্রায় সময় এই কাজটা করে থাকি, আমাদের অনেক সময় অনেক জ্যাম লেগে থাকে কিন্তু তার দিকে না তাকিয়ে আমরা নিজের কাজে ব্যস্ত থাকি আর বলি হ্যাঁ আসতেছি, হ্যাঁ করতেছি, হ্যাঁ আম্মু আসতেছি, হ্যাঁ করতেছি! বাট এটা কোন সঠিক পদ্ধতি না। সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে তুমি তোমার বডির ঘুরাও এবং তাদের দিকে তাকাও তাদের দিকে তাকিয়ে (Maintain Eye Contact) এরপরে সুন্দর ভাবে উত্তর দাও।
যখন আমরা কারো সাথে কমিউনিকেট করি তখন কিন্তু আমাদের ভডিও অনেক ভাবে তাকে তার কথার উত্তর দিয়ে থাকে কিভাবে হাত দিচ্ছে কিভাবে হাতের ইশারা হচ্ছে আমরা হাত কিংবা বোর্ডের মাধ্যমে কিন্তু তার কথার উত্তর দিতে পারি তাই আমাদের উচিত যখন আমরা কমিউনিকেট করে তখন তার দিকে সোজা হয়ে বডি ঘুরিয়ে দেন কথা বলা।
পঞ্চম স্টেপ – Have A Smile On Your Face
এটা বড় একটি সিস্টেম, স্টেপ! (Smile) হাসিখুশি। দেখা যায় অনেক সময় আমরা যখন কমিউনিকেট থাকে কারো সাথে কথোপকথনের মধ্যে থাকে তখন কত বছরের মধ্যে মন গম্ভীর করে তার সাথে কতপতন করে আমরা ভেবে থাকে যত গম্ভীর তত বেশি ভাব। যত হাসি তত এই ভাব কমে যায় এটা আসলে উল্টো। তুমি যখন হাসি খুশি কথা বলো তখন তোমার হাসি খুশির এলার্জি কিন্তু তোমার সামনে থাকা মানুষদের কাছে শেয়ার করতে পারো।
তুমি যখন সবার সামনে কথা বলবে অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলব তখন যদি হাসিখুশি ভাবে কথা বলা যেতে পারে তাহলে সবাই তোমার কথার থেকে গুরুত্ব অনুভব করবে সবাই তোমার হাসির এলার্জি ও অনুভব করবে। যখন যেখানে কথা বলছ না কেন চেষ্টা করে সেখানে এনার্জি নিয়ে কথা বলতে। চেষ্টা করো হাসিখুশি স্মাইলিং নিয়ে কথা বলতে। তুমি একটা জায়গায় আসলে সেখানে সবাই গম্ভীর মেরে বসে আছে একেকজন একেকটা ভাব নিয়ে বসে আছে সেখানে একটু এনার্জি নিয়ে কথা বলো দেখবে সবাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে সবাই তোমার কথা দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
আমি শিওর তুমি পরবর্তী সময়ে কথা বলার মধ্যে অবশ্যই হাঁসি থাকবে এবং এই হাসির এনার্জি সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিবে।