হ্যালো বন্ধুরা তোমরা সবাই কেমন আছো আশা করি তোমরা সবাই ভালো আছো আমরা আজকে আরো নতুন একটি গল্প তোমাদের মধ্যে প্রকাশ করতে যাচ্ছি আমাদের গল্পের নাম রেখেছি “তোমার ভালোবাসার রূপকথা”গল্পটি একজন প্রেমিক এবং একজন প্রেমিকার প্রেম জীবন শুরু করার পূর্ব থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিষয়টাই তুলে ধরা হবে এবং এই গল্পটি কোন বাস্তব চরিত্রের সাথে মিলানো নয় এটি কেবল মাত্র অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা।
আমার নাম “ফজলে রাব্বী”, আমার বয়স ২৩ বছর, আমার বাড়ি ঢাকা উত্তরা নিকুঞ্জ ১২২৯, বিশেষত্ব আমরা এখানে ফ্যামিলি সহ থাকি ফ্যামিলি বলতে আমার ফ্যামিলিতে রয়েছেন আম্মু আব্বু আরও একটা ছোট বোন এবং আমি। আমার আব্বু একজন বিজনেসম্যান শহরে অন্ন ৫ জন বিজনেসম্যান এর মধ্যে আমার আব্বু একজন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে আমাদের টাকা পয়সার কোন অভাব নেই আমরা প্রচুর ভালো রয়েছি সর্বদিক থেকে আমরা প্রচুর হ্যাপি আমাদের কোন সমস্যা নেই আমরা এখানে ভালই আছি।
মানে আমি লেখাপড়া করি আমার লেখাপড়া শেষ করতে আর মাত্র দুই বছর বাকি আমি ইংল্যান্ডে লেখাপড়া করতেছি। তোমার !! আমি অনেকবার চেয়েছিলাম যে দেশের মাটিতে থেকেই লেখাপড়াটা করি কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি সবার জোরাজুরি করাতে আমি ইংল্যান্ডে লেখাপড়া করতে বাধ্য হলাম এবং এখানে আমার লেখা পড়ার জীবন শেষ করে আমি দেশে ফিরব এর পরের দেশের মাটিতে আমি দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করার লক্ষ্যে কাজ করব সেই প্রত্যাশা আমার মনে সারাক্ষণ ঘুরছে।
মাঝেমাঝে আমার মনে হতো সিঙ্গেল লাইফ অনেক কষ্টকর যদি একজন ভালোবাসার মানুষ থাকতো হয়তো তার সাথে আড্ডা দেয়া যেত তার সাথে গল্প করা যেত তার সাথে বসে কিছু কথা বলা যেত কিন্তু এগুলো আমার হয়ে ওঠেনি এগুলো আমি চাইলেই করতে পারছিনা কারন আমার লাইফ পুরোপুরি সিঙ্গেল লাইফ আমার লাইফে অন্য কারো দেখা এখনো পাইনি বুঝতেই পারছেন সিঙ্গেল লাইফের মজাটা একটু ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তোমার
ইংল্যান্ড এসেছি লেখাপড়া করার জন্য বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য এখানে বসে যদি আমি লেখাপড়া না করে তাদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কষ্ট না করে এখানে বসে যদি আমি মেয়েদের সাথে আড্ডা দেই মেয়েদের সাথে কথা বলে টাইম পাস করি সেটা আমার জন্য পুরোপুরি বোকামো হবে ভাল হবে এই চিন্তা করে আমি কখনো কোন মেয়েদের সাথে আড্ডা দিতাম না কোন নাইটকেলাবে যেতাম না।
তোমার ভালোবাসার রূপকথা • পর্ব-২
ইংল্যান্ড এমন একটি দেশ আপনি চাইলেই এখানে মনের ইচ্ছা মনের খায়েশ পূরণ করতে পারেন খুব সহজ কিন্তু আমি কখনো এই কাজে লিপ্ত হওয়ার চিন্তা ধারাও করিনি। আমার আব্বুর অনেক বেশি টাকা থাকা সত্ত্বেও আমাদের মন-মানসিকতা আমাদের পরিবার, আব্বুর আচার-আচরণ চলাফেরা সব কিছু অন্যরকম। এর মধ্যে যেন আমরা যে ধনী বিজনেসম্যান এরকম কোন ভাব প্রকাশ পায় না। তোমার
অনেকেই আছে যারা একটু টাকা-পয়সা হলেই ভিন্নজগতে মানুষের মতো আচরণ করে মানুষদের কে পাত্তা দেয় না মানুষদের দূরে ঠেলে দিতে চায় তাদের থেকে আমরা অনেক বেশি ভিন্ন তাদের সাথে আমার কিংবা আমাদের কোনো সম্পৃক্ত নেই আমরা তাদের মত কখনোই না। ফেস করে আব্বুর আচার-আচরণ গুলো আমার খুবই ভালো লাগে এবং আমার এলাকার অর্থাৎ আমার কলোনিতে যারা আব্বুকে চিনে তারা ভাবে খুবই সম্মান করে আব্বুরে আচার আচরনর জন্য। তোমার
এভাবেই চলতে থাকে আমাদের জীবন আমি প্রত্যেক বছর দেশে এসে এক মাস থেকে যায় এবং বাকি ১১ মাস ইংল্যান্ড কাটাই এভাবে আমার জীবন থেকে সাত বছর হয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড রয়েছি আমার লেখাপড়া জীবন শেষ করতে আর মাত্র এক বছর বাকি এক বছর জন্য সময় কাটছে না এক বছর পরে আমি দেশে ফিরব দেশের মাটিতে ভালো কিছু করার চেষ্টা করব এই প্রত্যাশা অনেক কিছু কল্পনা করে রেখেছি আমি বিয়ে করব সবকিছু মিলিয়ে দেশের জন্য কাজ করে মনকে সান্তনা করবো এটা আমার আশ্বাস। তোমার
সর্বোপরি আমার লেখাপড়ার অবসান ঘটল এক বছর হয়ে গেল এখান থেকে সার্টিফিকেট বের হওয়ার পর আমি দেশে চলে যাব আমার সবকিছু রেড আমি এখন দেশে যাব হয়তো আব্বুর বিজনেসে আমাকে আমাকে বসিয়ে দিবে কিন্তু আমি এ বিষয়টা নিয়ে দেশে ফিরে সবার সাথে বসে আলোচনা করবো সেরকম একটা মন্তব্য করেছিলাম কিন্তু কি রকম কি হবে সেটা এখনো আমি শিওর নয় আমি দেশে ফিরে এই বিষয়টা বুঝতে পারবো কেননা তারা আমার থেকে যেটা করেছে সেটা আমি হয়তো পূরণের লক্ষ্যে চলেছি লেখা পড়ার জীবন শেষ করেছি।
এই গল্পের পরবর্তী পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।