ভালোবাসার রূপকথা! মেয়েটা আমাকে বলে হাই ভাইয়া কেমন আছেন আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি তোমার নাম কি? মেয়েটি বললো ভাইয়া আমার নাম হচ্ছে “ইসরাত জাহান ইয়ামিন” আমি বললাম বাহ খুব ভালো না তুমি কোথায় থাকো একটু সামনেই উত্তরায় থাকি আমি বললাম ও আচ্ছা আমরা উত্তরায় থাকি ১২ নম্বর সেক্টরে। তোমরা সবাই বেড়াতে এসো এখানে আমার উদ্দেশ্য করে বলা ঠিক হবে না সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে দিলাম তোমরা সবাই আমাদের বাসায় বেড়াতে গিয়ে এবং সবার সাথে কথা বললাম সব লেখাপড়া কেমন চলে এ বিষয়ে কথা বললাম তোমরা কি করতে চাও একটু কথা বললাম ভালই লাগলো কথা বলার পরে আমরা অন্য কোথাও ঘুরতে যাব এবং দুপুরে লাঞ্চ করব বাইরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত করলাম বলল সামনের দিকে একটা ভালো রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে করা যেতে পারে লাঞ্চ।
আমি বললাম ঠিক আছে চলো সামনের দিকে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করি একজন রেষ্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম সেখানে প্রচুর বাংলা খাবার পাওয়া যায় বাংলার খাবার গুলো খুব বেশি মিস করতাম ইংল্যান্ড বসে এখন বাংলা খাবারগুলো খেতে পারব রেস্টুরেন্টে খুব ভালো লাগছে অবশ্য ইংল্যান্ডের কয়েকটা রেস্টুরেন্টের বাংলার ভাত মাছ এগুলো পাওয়া যেত কিন্তু খুব কম সংখ্যক মানুষ সে গুলোকে তারাই এগুলো নিয়ে তেমন একটা বিজনেসে লাভ করতে পারতো না বলেই এখনও তারা বিক্রি করতো না কিন্তু আমি সব সময় বাংলা খাবার গুলো পছন্দ করতাম। ভালোবাসার রূপকথা!
এভাবে রেস্টুরেন্টে বেশকিছু আইটেম অর্ডার করলাম তারা অল্প সময়ের মধ্যে খাবার গুলো পাঠিয়ে দিল, আমরা খাবারগুলো ভক্ষণ করতে লাগলাম এক পর্যায়ে খাবার ভক্ষণ করতে চাই আর রূপাকে প্রশ্ন করলাম আচ্ছা রুপা তোর ভার্সিটি ইসরাত নামের ওই মেয়েটা কিন্তু অসুন্দর মেয়েটা কিসে পড়ে এটা তো আমার সাথেই পড়ে সুন্দর মানে কি সবাই তো সুন্দর তুই কি মেয়েটাকে মেয়েটা কিন্তু ডেঞ্জারাস আমি বললাম তোর কিভাবে মনে হয়। পাগল নাকি তুই ওই মেয়ের সাথে প্রেম করা আমার কি মানায় নাকি এমনিতেই বললাম তোকে। ভালোবাসার রূপকথা!
কি জানি তোর মনে আমার কোন পেত্নী হানা দিচ্ছে তোর মন বলে কিছুই বুঝতে পারিনা। আমি বললাম তোর এত কিছু বুঝতে হবে না খাওয়া শেষ করো যদি পারো এটার নাম্বারটা সেন্ড করে দিয়েছি এমনি একটু কথা বললাম আর কি রুপা বলল এমনি বললাম আর কি থাকতে পারে তুই তো ইদানিং অনেক বেশি কথা বলতেছি এগুলো কে শিখিয়েছে বড়রা কিভাবে অন্য মেয়ের নাম্বার ছোটদের কাছে চাই? ভালোবাসার রূপকথা!
তোমার ভালোবাসার রূপকথা • পর্ব-৪
আমি বুঝতে পেরেছি রীতিমতন উপায় এখানে আমাকে করতে দিবে তাই আমি আর কোন কথা বললাম না বললাম খাওয়া শেষ কর এবং এখান থেকে বেরোতে হবে সামনের দিকে যেতে হবে আমি খাওয়া শেষ করলাম আমি ভাবলাম হয়তো নাম্বার রুপোর ফোনেই আছে তাই সহজে নেয়া যাবে বললাম ওর নাম্বারটা দে নাম্বার দিতে বারণ আছে হয়তো মাইন্ড করবেন না মাইন্ড করার কি আছে আমি কনফার্ম হয়ে যাবে কিনা?
আমি বললাম মনে হচ্ছে তুই ওর সিকিউরিটি তাই এত কিছু বলতেছিস আমি তো শুধুমাত্র ওর নাম্বারটা চেয়েছি ওর সাথে প্রেম করার প্রস্তাব দেয়নি রুপা ফোন নাম্বার চাবি কেন তুই তুই ওর নাম্বার চাওয়ার অধিকার রাখি না কারণ ও শুধু আমার ভার্সিটির বন্ধু অন্য কিছু না করে অন্য একটা মেয়ের নাম্বার দেওয়া ঠিক না তাই বলে অন্য একটা মেয়ের নাম্বার দিতে পারবো না আমি ওর সাথে কথা বলে দেখি! ঈশ্রত চরিত্রকে নাম্বার দিতে বলেন তাহলে আমি নাম্বার দিব না তোমাকে নাম্বার দিব না আমি বললাম দেখ রুপা তুই কিন্তু বহুত ফাজিল হয়ে গেছিস একটা নাম্বারের জন্য কতো কথা বললি।
রুপা বলল হাজির হবো না তো কি করব অন্য একটা মেয়ের নাম্বার তোকে সহজেই দিয়ে দিব যদি মেয়েটা আমাকে প্রশ্ন করে কেন নাম্বার দিয়েছে তখন আমি কি বলবো? ভালোবাসার রূপকথা! আমি বললাম তুই বলে দিবি যে নাম্বার দুইটা আছে নি তোমার মত সবাই তো বোকা সহজেই বুঝতে পারবে নাম্বারটা আমি গিয়েছি তাই একদিন অপেক্ষা কর আমি ওর থেকে পারমিশন নিয়ে তোকে নাম্বার দেবো চিন্তা করিস না একদিন তুই মরে যাবি না আমি বললাম ঠিক আছে ওর সাথে কথা বলে আমাকে নাম্বার দিস।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা সারাদিন ঘুরব সেই লক্ষ্যে অন্য কোথাও রওনা দিলাম গাড়ি আমাদের সাথে ছিল তাই আমাদের সমস্যা হয়নি গাড়িতে করে অন্য কোথাও রওনা হলাম এবং আমাদের উদ্দেশ্য ছিল আজকে অনেক দূর ঘুরতে যাব তাই আমরাও উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে আমেরিকাতে লাগলাম। ভালোবাসার রূপকথা!