পিয়াজের ইংরেজি নাম রয়েছে তা হলো, অনিয়ন। অথবা ইংরেজিতে বলা হয়। আদি যুগ থেকেই পিয়াজের প্রচলন হয়ে আসছে, এখন পর্যন্ত অধিক পরিমাণে পিয়াজের ব্যবহার হয়ে থাকে। পিয়াজ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়, পিয়াজ কে তরকারি রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। দৈনন্দিন রান্নার কাজে তরকারির রানতে পিয়াজ মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখন আমরা আলোচনা করব পিয়াজ খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে। আমাদের দেশে সহ বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজের চাষ করা হয়। পিয়াজ একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা এবং খুবই পরিচিত একটি মসলা। পেঁয়াজ খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন প্রকার উপকার হয়।
মানব দেহকে সুস্থ রাখতে বিভিন্ন উপাদান গ্রহণ করতে হয়, এসব উপাদানের মধ্যে আমরা কিছু কিছু উপাদান তরকারি থেকে পেয়ে থাকি। তরকারি রান্নার জন্য প্রয়োজন সঠিক নিয়মে মসলা দেওয়া এর ফলে তরকারি অনেক সুস্বাদু হয়। আর দরকার সুস্বাদু করতেই পেঁয়াজের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিসীম।
অনেক অনেক বছর আগে থেকেই পেঁয়াজের ব্যবহার হয়ে আসছে এবং মানুষ এখন পর্যন্ত তরকারি রান্নার কাজে অথবা বিভিন্ন ঔষধ তৈরি করতে পেঁয়াজের ব্যবহার করে থাকে। পিয়াজ হচ্ছে সকলের কাছে জনপ্রিয় একটি মসলা, অথবা জনপ্রিয় একটি উপকরণ। প্রত্যেকটা মানুষই তরকারি রানতে পিয়াজ ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও বিরিয়ানী ও খিচুড়ী অথবা গোশত রানতে অধিক পরিমাণে পিয়াজ এর ব্যবহার করা হয়। যত পিয়াজ দেওয়া যায় তত সুস্বাধু হয়।
পিয়াজের ব্যবহার
বিভিন্ন কাজে পেঁয়াজের ব্যবহার করা হয়। যেমন, ডিম ভাজতে পেঁয়াজের ব্যবহার করা হয়,ঝালমুরি মাখাতে পেঁয়াজের ব্যবহার করা হয়, বিরানি রানতে পেঁয়াজের ব্যবহার করা হয়, বিভিন্ন ধরনের তরকারি রানতে পেঁয়াজের ব্যবহার করা হয়, গোশত রান্না করতে পেঁয়াজের ব্যবহার করা হয়, খিচুড়ির রানতে পেঁয়াজের ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আরও অনেক ধরনের খাদ্য আছে যেগুলোতে যত বেশি পাওয়া যায় তত সুন্দর ও সুস্বাদু হয়।
উৎপাদন
পিয়াজ বিভিন্নভাবে উৎপাদন করা হয়, এটি বিভিন্ন দেশে উৎপন্ন হয়। সবচেয়ে অধিক পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি ও উৎপন্ন করে চীন ও ভারত। ভারত বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে। ভারত অধিক পরিমাণে পিঁয়াজ আমদানি করে এবং বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে থাকে বিক্রয়ের জন্য। যেমন বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান নামে একটি পিয়াজ আসে এই পেজটি অনেক বড় বড় সাইজের আকারের হয়ে থাকে। অন্য দেশি শুধু পিঁয়াজ আমদানি করে থাকে অথবা উৎপন্ন করে থাকে তা নয়। বরং বাংলাদেশেও অধিক পরিমাণে পিয়াজ উৎপন্ন হয়ে থাকে এবং এই পেজ থেকে অনেক মুদ্রা অর্জন করা যায় পরিবারের চাহিদা মেটাতে।
চাষাবাদ
পেঁয়াজ বিভিন্নভাবে চাষাবাদ করা যায়। আবাদি জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করা হয়। এছাড়াও পেঁয়াজ চাষ করতে হলে মাটি ঝুরঝুরে হতে হয় এর ফলে পিয়াজ ভালো হয়। চাষাবাদ জমি প্রস্তুত করতে প্রথমে পরিমাণ মতো স্যার ছিটিয়ে দিতে হবে এবং ডাক্তার দিয়ে শ্বাস করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে এভাবে জমি প্রস্তুত করতে হবে। পিয়াজ সারিসারি আকারে লাগালে ভালো হয়। পিয়াজ আমরা নিজেদের বসতবাড়িতে ও ফাঁকা স্থানে চাষ করে লাগাতে পারি। তবে ঝরঝরে মাটিতে পিয়াজ ভালো জন্মে এবং অধিক ফলন পাওয়া যায়।
সংগ্রহ
যখন পেঁয়াজের পাতা শুকিয়ে যায় এবং হলুদ হয়ে পড়ে তখন পেঁয়াজ গাছ সহ উপরে আনতে হয় এবং পেঁয়াজের পাতা কেটে দিয়ে রোদে শুকাতে হয়। রোদে শুকানোর পর পেঁয়াজ সংরক্ষণ এর উপযোগী হয়। জমি থেকে তুলে এনে যদি পিয়াজ না শুকানো হয় তাহলে এই পেঁয়াজ বেশিদিন টিকে না, নষ্ট হয়ে যায়।
পুষ্টি
প্রতি ১০০ গ্রাম পিয়াজে শর্করা থাকে ৯.৩৪ গ্রাম, খাদ্য তন্তু থাকে ১.৭ গ্রাম ,স্নেহ থাকে ০.১ গ্রাম, চিনি থাকে ৪.২৮ গ্রাম এছাড়াও ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বিদ্যমান থাকে। এসব পুষ্টি উপাদান পিয়াজের থাকার কারণে পেঁয়াজ খাওয়া অনেক উপকারী।
পিয়াজ আমাদের প্রত্যেক দিনের রান্নার কাজে অধিক পরিমাণে দরকার হয়ে থাকে তরকারি সু-স্বাদু করে রান্না করার জন্য। এছাড়াও বিভিন্ন কাজে পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়।
ঔষধি কাজে পেঁয়াজের ব্যবহার
পেঁয়াজ বিভিন্ন ঔষধি কাজে ব্যবহার করা হয় ।যেমন, পুড়ে গেলে ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য পিয়াজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আচিল দুর করে, ক্যান্সারের মতো রোগ দূর করে,কমিয়ে দেয় উচ্চ রক্তচাপ এর মাত্রা, কমিয়ে দেয় জ্বরের প্রকোপ, কমিয়ে দেয় ডায়াবেটিস এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা দান করে।
আমরা পেঁয়াজের বিভিন্ন উপকার সম্পর্কে জানতে পারলাম। আসলেই পিয়াজ আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রিয়াজের সঠিক কাজ জেনে পেঁয়াজ খেতে হবে তাহলে উপকার পাওয়া যাবে। উপরোক্ত বিষয়টি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন আশা করি।