এই গল্পের পার্ট ১ পড়ুন! আমার প্রতিবেশী হালিম বিশ্বাস করেন যে ভূত-পত্নী বলতে পৃথিবীতে কিছুই নেই এগুলো কেবলমাত্র মানুষের ভুল ধারণা। তাকে আমি সত্তিকারের কিছু ঘটনা শোনালাম এমনকি তাকে ভিডিও দেখালাম এরপর তিনি কোনোভাবে বিশ্বাস করতে পারছেন না যে পৃথিবীতে ভূতের ঘটনা অথবা ভূত-পেত্নী বলে কিছু রয়েছে। আমি আমি তাকে ভূতের ঘটনা সত্যতা প্রকাশ করার জন্য তাকে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ দেখালাম বিভিন্ন ঘটনা থাকে পরে শুনলাম কিন্তু কোনোভাবেই সে বিষয়গুলো মানতে রাজি নয় কি কর আর এখানে আমি ব্যর্থ মেনে নিলাম।
অতঃপর আমার নাম সাইফুল ইসলাম! আমার প্রতিবেশী হালিম একদিন আমাকে বললো চলো আমরা দুদিনের জন্য কোথাও ঘুরতে যাই মন ভালো হয়ে যাবে। আপনাদের বলে রাখা ভালো আমার কোথাও ঘুরতে যাওয়া ভ্রমণ করা খুবই ভালো লাগে প্রায় সময় গুলো আমি করে থাকি আমি ওর প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলাম। আমাদের ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান আর মাত্র বাসা থেকে ছুটি কাটালাম এবং কিছু টাকা ম্যানেজ করলো জাতি আমাদের ঘোরাফেরা সফলভাবে হয়ে যাবে।
আপনাদের বলে ডাকছি যদিও এখানে আমার সাহস মোটামুটি একটু বেশি হালিম অনেক বেশি বিশেষ করে ও ভূত-পেত্নী এগুলোতে কোনভাবেই অভ্যস্ত নয় এগুলো কোনভাবেই বিশ্বাস করে না তাই দুজনের সাহস মোটামুটি বেশি থাকায় আমরা একটা নির্জন সারাবাড়ি অর্থাৎ যে বাড়িতে অনেক বছর ধরে মানুষ বসবাস করে না সে বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করলাম, আমাদের উদ্দেশ্য এই বাড়িতে মানুষ থাকে না তাহলে এই বাড়ি কেন এত মানুষের আনাগোনা কেন এই মানুষ দেখতে আসেনি বাড়িতে আমরা আদিকাল থেকে শুনে আসছি এই বাড়িতে নাকি রাতের বেলা ভূতের আড্ডা হয় আমরা এর রহস্য বের করেই ছাড়বো।
ভূতের ঘটনার সত্যতা প্রকাশ!
ভদ্র ছেলেদের মত পরের দিন সকাল নয়টার দিকে দুজনেই সুন্দরভাবে বেরিয়ে পড়লাম বাড়ি থেকে প্রায় ৬ ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে আমরা গন্তব্যে পৌছালাম এবং গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রায় বিকেল ৪টা বেঁচে যায় অর্থাৎ গণ বিকেল চলে আসে যেহেতু মানুষ থাকে না তাই অন্ধকার মনে হয়। ওই বাড়িতে কয়েকজন মানুষ রয়েছেন যারা দেখার জন্য আসছেন এবং তারা সন্দেহ করার আগেই নিজেদের গন্তব্যে ফিরে যাওয়ার জন্য ওখান থেকে বের হচ্ছেন। অতঃপর আমরা কিছু সময় ঘুরাঘুরি করলাম আশেপাশের জায়গা টা মোটামুটি চেনা হল এর পরে কিছুক্ষণ পরে মাগরিবের আযান অর্থাৎ সন্ধা নিয়ে আসলো। সত্যতা প্রকাশ
হ্যাঁ আমাদের কাছে লাইট আছে আর একটা বাটন মোবাইল হালিমের কাছে আছে আমার কাছে কোন ব্যক্তিগত মোবাইল নেই। কারণ তখন লেখাপড়ার মধ্যে বাসা থেকে কোনভাবেই মোবাইল দিবেনা যার জন্য মোবাইলে পড়তে হতো আসক্ত ছিলাম না কিন্তু ঘোরাফেরার প্রতি অনেক বেশি আসক্ত ছিলাম। আলিমের মোবাইলে ফুল চার্জ এবং আমাদের দুজনের কাছে দুইটা লাইট আমাদের উদ্দেশ্য এখানে রাত কাটানো। যদিও এখানে রাত কাটাবো এ বিষয়ে বাসায় আমরা কোন আলোচনা করি নি বাসায় যান আমাদের এখানে আসার জন্য তারা পার্টশন দিত না। সত্যতা প্রকাশ
অতঃপর চারদিক অন্ধকার হয়ে আসলো আমরা যেখানে দুজনে দাঁড়িয়ে আছি এবং যেখানে দাঁড়িয়ে দুজনে বিভিন্ন আলোচনা করছি সেখানে অনেক অন্ধকার হয়ে আসছে দুজন দুজনকে অল্প অল্প করে দেখা যাচ্ছে এমত অবস্থায় আমরা ব্যাক থেকে লাইক বের করে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আলোচনা করলাম আমরা কোথায় কোথায় উদ্ভব এবং কি কি দেখব। ১০ দুজনের কথাবার্তা শেষ করে দুজনে লাইক মেরে বাসার ভিতরে অর্থাৎ ওই ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করার পূর্বে যেটা হয়েছিল তা হচ্ছে আমরা কোন দরজা পাচ্ছিলাম না অতঃপর সামনের দরজা বড় এক তালা দিয়ে আটকানো দুজনে পিছনে চলে গেলাম দেখি পিছনে দরজায় হাত না কেন মাত্রই একা একা দরজা কর কর শব্দ করে খুলে গেল। সত্যতা প্রকাশ
আমাদের কাছে অদ্ভুত লাগেনি বিষয়টি আমরা দরজা খোলা মাত্র ভিতরে ঢুকে পড়লাম ঢোকামাত্রই আমার দরজায় একই শব্দ করে অটোমেটিক আটকে গেল বিষয়টা আমরা অত জোরালোভাবে না দেখায় আমরা নিজেদের মতো করে ঘরের মধ্যে হেটে চলছি। অতঃপর খেয়াল করলাম উপরে ওঠার জন্য সেই রয়েছে আমরা দুজনে সেখানে লাইট মারলাম এবং উপরে ওঠার জন্য সামনের দিকে আঘাত লাগলাম হঠাৎ করে যা দেখলাম তার জন্য আমার মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। সত্যতা প্রকাশ
হঠাৎ করে দেখি আমাদের সামনে থেকে কিছু একটা দৌড়ে অন্যদিকে চলে গেছে এবং সেটা সম্পূর্ণ সাদা পোশাকে পরিপূর্ণ ছিল। বিষয়টি আমরা দুজনেই কল করলাম এবং বিভিন্ন জায়গাতে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা কেউ কোন কথা বলছি না একইভাবে আমাদের সামনে থেকে আবারো অনেক বেশি গতিতে কিছু একটা দৌড় দিল সাদা পোশাক পরিধান ছিল।
এবার আমার সাহস এর অবসান ঘটল আমি হুট করে হালিমের হাত ধরলাম হালিম বুঝতে পারোনি আমি কিছুটা ঘাবড়ে গেছি কিন্তু হালিম সাহসী থাকায় এবং এগুলো বিশ্বাস না হয় ও বলল চল আমরা উপর দিকে যাই। তখন আমি বললাম চল আমরা এখান থেকে বেরিয়ে যায় কিন্তু ভাল না দেখতে হবে আমাকে এখানে কি আছে এবং জীবনে কিছুই পৃথিবীতে হয়না। হালিম আমাকে বললো তুমি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছো। সত্যতা প্রকাশ
আমি ওর কথায় সাহস পেয়ে অনেকটা সাহসী হয়ে ওর সাথে উপরের দিকে উঠতে লাগলাম এরই মধ্যে আমরা খেয়াল করলাম কিছু একটা শব্দ হচ্ছে উপরের দিকে শব্দটা এমন যে ঝর্না থেকে পানি পড়লে যেমন শব্দ হয় তেমন শক্ত কিন্তু সভ্যতা আমরা পূর্বে অর্থাৎ আগে খেয়াল করিনি শব্দটা সম্পূর্ণ নতুন কোন শব্দ শব্দটা খেয়াল করা মাত্রই আমরা ওখানে দাঁড়িয়ে গেলাম এবং আমি আমার সাথে থাকা হালিমকে বলতে লাগলাম ভাই এটা কিসের শব্দ হতে পারে? উত্তরে হালিম বলল এটা হয়তো বাইরে কোথাও ঝর্ণা আছে তাই শব্দ হচ্ছে আমি বললাম বিষয়টা কেমন অদ্ভুত মনে হচ্ছে। হালিম বলল চল উপরে গিয়ে দেখি। সত্যতা প্রকাশ
আমি বললাম ঠিক আছে চলেন! দুজনে নিজেদের গতিতে উপরের দিকে উঠতে লাগলাম, উপরে উঠে দেখি দরজা এবং দরজাটি ভিতর থেকে আটকে দেওয়া আমরা দরজার লক করা মাত্রই একা একা দরজাটি খুলে গেল অবশ্য চারদিকে অন্ধকার আমাদের দুজনের হাতে লাইট আছে লাইট এর মাধ্যমে আমরা সবকিছু দেখতে পাচ্ছি। বিষয়টা অদ্ভুত হলেও আমাদের কাছে ওরকম অদ্ভুত মনে হয়নি। সত্যতা প্রকাশ
দরজা খোলা মাত্রই আমরা ভিতরের দিকে চলে আসলাম এরপরে চারদিকে লাইক করলাম অনেক পুরনো বাড়ি বাড়ির ভিতরে বিভিন্ন পোকামাকড় হাঁটাচলা করছে সামনের দিকে আগানো যাচ্ছে না মাকড়সা জাল বুনে রাখছে। এরপর আমরা সামনের পথ অতিক্রম করতে লাগলাম সামনে গিয়ে দেখি একটা মানুষ তার শরীর পচে গলে সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেছে সেখানে শুধু তার হাড্ডিগুলো সুন্দরভাবে সাজানো আছে যেমন একটা মানুষ হয়ে থাকে সেরকম। সত্যতা প্রকাশ
বিষয়টা দেখামাত্রই আমি হালিমকে বললাম এটা কি হতে পারে হালিম আমাকে বললো এখানে কেউ মারা গেছে এবং সেটার হাড় গুলো এভাবে পড়ে আছে আমি হাবিবকে বললাম বিষয়টা দেখে তোমার কিছু মনে হচ্ছে গিয়ে আমি বলব না এগুলো স্বাভাবিক! আমি বললাম হয়তো এখানে কোন বিপদ হতে পারে চলো আমরা এখান থেকে বেরিয়ে পড়ি হালিম কোনভাবেই এখান থেকে বেরোনোর জন্য রাজি হলো না অতঃপর আমরা একটু সামনে আঘাতেই যা দেখলাম তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না! সত্যতা প্রকাশ